ঢাকা , সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ :
শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ১৪ ঘন্টা পর উদ্ধার চট্টগ্রামে হিজলা খালে নিখোঁজ সেই শিশুটি হঠাৎ কেন রাস্তায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা? নাটোরে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর নির্মম হত্যার ঘটনা, মুখ ঝলসে দেয়া হয়েছিল চিনতে না পারার জন্য জিগাতলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবক গ্রেফতার ভিডিও ভাইরাল ফেসবুকে নির্বাচনের রোডম্যাপ, প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপির বৈঠক ছক্কার ঝড় তুলে এক মাসে ৪ সেঞ্চুরি করা কে এই ক্রিকেটার? পিএসএল অভিষেকেই ৩ রেকর্ড রিশাদের বিবস্ত্র পোশাকে সামিরা খান মাহির নাচ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরি ২০২৫ আবারো সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই বিয়ে করতে দেশে এসেই প্রাণ হারালেন লন্ডন প্রবাসী বিডার চেয়ারম্যান কে এই আশিক চৌধুরী? Ashik Chowdhury স্বাধীনতার ঘোষক সংক্রান্ত পোস্টের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসিল্যান্ড প্রত্যাহার হাসনাতের বক্তব্যের বিপরীতে সারজিস

চাপাতি হাতে ভাইরাল আদাবরের ‘টুন্ডা বাবু’ গ্যাংয়ের সেই কিশোরসহ ৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক কিশোরকে সাধারণ মানুষকে সামুরাই চাপাতি দিয়ে কোপাতে এবং ভয়ভীতি দেখাতে দেখা যায়। এই ভয়ংকর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসে। অবশেষে, শনিবার (১৫ মার্চ) মধ্যরাতে ওই কিশোরসহ চারজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।

 

জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া কিশোরটি ‘টুন্ডা বাবু’ গ্রুপের প্রশিক্ষিত সদস্য। এই গ্যাং কিশোরদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতো এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ভাইরাল করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আকৃষ্ট করতো। গ্যাংটির নেতৃত্বে ছিল কুখ্যাত অপরাধী টুন্ডা বাবু ও তার ভাই স্বপন।

 

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সেনাবাহিনী দ্রুত অনুসন্ধান চালিয়ে গ্যাং সদস্যদের অবস্থান চিহ্নিত করে। রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে চার কিশোর গ্যাং সদস্যকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করা হয়।

 

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়—
– ৫২০ পিস বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুতকৃত রেডিমেড গাঁজা স্টিক
– তিনটি বড় সামুরাই
– একটি চাপাতি
– ছয়টি ছোট-বড় ছুরি

 

উল্লেখ্য, কুখ্যাত সন্ত্রাসী টুন্ডা বাবু কিছুদিন আগেই র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। তার অনুপস্থিতিতে তার ছোট ভাই স্বপন গ্যাংটির নেতৃত্ব দিচ্ছিল। তবে এবার স্বপনসহ গ্যাংয়ের চার সদস্যকে ধরার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের সাফল্য পেল।

 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই অভিযানে ‘টুন্ডা বাবু’ গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ প্রায় ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ ধরনের কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অভিযান চালানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

চাপাতি হাতে ভাইরাল আদাবরের ‘টুন্ডা বাবু’ গ্যাংয়ের সেই কিশোরসহ ৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

Update Time : ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক কিশোরকে সাধারণ মানুষকে সামুরাই চাপাতি দিয়ে কোপাতে এবং ভয়ভীতি দেখাতে দেখা যায়। এই ভয়ংকর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসে। অবশেষে, শনিবার (১৫ মার্চ) মধ্যরাতে ওই কিশোরসহ চারজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।

 

জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া কিশোরটি ‘টুন্ডা বাবু’ গ্রুপের প্রশিক্ষিত সদস্য। এই গ্যাং কিশোরদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতো এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ভাইরাল করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আকৃষ্ট করতো। গ্যাংটির নেতৃত্বে ছিল কুখ্যাত অপরাধী টুন্ডা বাবু ও তার ভাই স্বপন।

 

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সেনাবাহিনী দ্রুত অনুসন্ধান চালিয়ে গ্যাং সদস্যদের অবস্থান চিহ্নিত করে। রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে চার কিশোর গ্যাং সদস্যকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করা হয়।

 

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়—
– ৫২০ পিস বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুতকৃত রেডিমেড গাঁজা স্টিক
– তিনটি বড় সামুরাই
– একটি চাপাতি
– ছয়টি ছোট-বড় ছুরি

 

উল্লেখ্য, কুখ্যাত সন্ত্রাসী টুন্ডা বাবু কিছুদিন আগেই র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। তার অনুপস্থিতিতে তার ছোট ভাই স্বপন গ্যাংটির নেতৃত্ব দিচ্ছিল। তবে এবার স্বপনসহ গ্যাংয়ের চার সদস্যকে ধরার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের সাফল্য পেল।

 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই অভিযানে ‘টুন্ডা বাবু’ গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ প্রায় ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ ধরনের কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অভিযান চালানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।